Wednesday, October 4, 2017

Fiverr নিয়ে কিছু কথা



বর্তমানে Fiverr হলো এমন একটি মার্কেটপ্লেস যেখান থেকে খুব তারাতারি কাজ পাওয়া যায়। তাই ফাইবার দিয়েই শুরু করা যাক কাজ।
Fiverr দিয়ে কাজ করার আগে কিছু জিনিস জানার দরকার।
  • js
  • kjfksdj
  • dkfkld
  • dkfjlksdj

মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে কিছু ধারণা

ফ্রিলান্সিং করার জন্য কিছু বহুল পরিচিত মার্কেটপ্লেস আছে। মার্কেট বলা হয় কারণ এসব জায়গায় বিভিন্ন ধরনের ক্রেতা বিক্রেতারা একাউন্ট খোলে। ক্রেতাদের উদ্দেশ্য হল, কাজ করায় নেয়া, আর বিক্রেতাদের কাজ হল তারা যা যা পারবে সেটার বিষয়ে সব কিছু লিখে সেখানে তাদের অভিজ্ঞতার কথা ছড়ানো। এসব মার্কেটপ্লেসে কিন্তু কোন পণ্য বিক্রি হয় না। অবশ্য চাইলে সেটাও করা সম্ভব।

মার্কেটপ্লেসকে ফেসবুকের সাথে তুলনা করলে, দেখবেন - ফেসবুকে ভালো ছবি, আকর্ষনিয় স্টেটাস আর অনেক ফ্রেন্ড করলে যেমন একটা মানুষ অনেক পরিচিত হয়ে যায়। তেমনি মার্কেটপ্লেসে সব সময় সক্রিয় (Active) থাকলে, যা কাজ পাবেন সেটা ঠিক ভাবে করে দিলে, একটা ভালো মতামত (comment) পাবেন ক্রেতার কাছ থেকে, যা আপনাকে ভবিশ্যতের কাজ পেতে সাহায্য করে অনেক বেশি, আর যত বেশি ভালো মন্তব্য তত বেশি পরিচিতি আর ভালো কাজ করে দিলে, ঐ ক্রেতা পরবর্তিতে আপনাকেই খুজবে কাজ করানোর জন্য, এ জন্য আপনাকেও সক্রিয় থাকতে হবে। সবশেষে ভালো মন্তব্য আর ভালো কাজ দিলে, আপনিও হয়ে উঠতে পারেন বিখ্যাত একজন বিক্রেতা। আর পুরোটা ফেসবুকের মত নয়, তবে ফেসবুকের সাথে তুলনা করলাম, কারণ এখন ফেসবুক চালায় না এমন মানুষ খুবি কম দেখা যায়। আর ফেসবুক চালাতে কোন ইংরেজি জানার দরকার হয় না। কিন্তু মার্কেটপ্লেসে ইংরেজী ছারা ক্রেতার সাথে আলোচনাই করতে পারবেন না, তাই অন্তত (Communicative English) জানা লাগবে, যেটা দিয়ে আপনি ক্রেতার কথা বুঝবেন, আর তাকে সঠিকভাবে কাজ দিতে সক্ষম হবেন। ইংরেজি না জানা থাকলে, সমাধান আছে একটা, কিন্তু এটা যথেষ্ট নয়। আবার বিপদের বন্ধু হবে এটাই।

ইংরেজী থেকে বাংলা, আর বাংলা থেকে ইংরেজী এর জন্য
  • প্রথমে Google Translate এ যেতে হবে
  • তারপড় সেখান  থেকে Translate করতে হবে
এভাবে বাংলা থেকে ইংরজীতে ও ইংরেজী থেকে বাংলা করা যায়। বাংলা তো সবাই বুুঝি ‍কিন্তু ইংরেজীতে ট্রান্সলেট করার সময়, অনেক ভুল বের হয়। তাই এটা শুধু বুঝার জন্যই ব্যবহার করা দরকার, কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য এটা না ব্যবহার করাই ভালো।

কিছু মার্কেটপ্লেস এর নাম হল

Upwork হল বিশ্বের সবথেকে বড় মার্কেটপ্লেস। এখানে একাউন্ট খোলার পর ভেরিফিকেশন হয়। ভেরিফিকেশনে যদি দেখা যায় যে তার কিছু জিনিস, মানে অভিজ্ঞতা আছে যা তাদের দরকার। সে ক্ষেত্রেই শুধু তারা একাউন্ট একটিভ করে দেয়। Upwork এর আগে Odesk নাম ছিল। আরও অনেক তথ্য দেওয়া হবে পরবর্তীতে।


Fiverr হল বর্তমানে বাংলাদেশের বহুল পরিচিত একটি মার্কেটপ্লেস। এখানে খুব সহজে কাজ পাওয়া যায়। তাই এটার বিষয়ে আরো একটা পোষ্ট আছে। পোষ্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Monday, October 2, 2017

ফ্রিলান্সিং কি এবং এর চলতি কিছু ভুল ধারণা

ফ্রিলান্সিং কি এবং চলতি কিছু ভুল ধারণা

কেউ  মনে করে ফ্রিলান্সিং এর ভিত্তি কোথায়, কে দিবে টাকা, কেনোই বা দিবে। যদি প্রশ্ন এমন হয় তাহলে কিছু জিনিস জেনে রাখা দরকার। আসলে কিছু কাজ থাকে যা কোন প্রফেসনাল ডিজাইনার, বা কোন দক্ষ মানুষের কাছে করে নিতে গেলে অনেক ডলার পেমেন্ট করতে হয়। সে ক্ষেত্রে কেউ কেউ অল্প দামের ভিতর কাজ খুজে, আর তখন তারা সেটা অনলাইনে খোজা শুরু করে। আবার অনেক সময় দেখা যায় কিছু জিনিস যেটা একটা ডিজাইনার তার মত করে এক ভাবে প্রকাশ করে দেখায় তারথেকে ভালো ফলাফল পাওয়া যায় অনলাইনে। যেমন ধরেন ফ্রিলান্সার.কম নামে একটা ওয়েবসাইট আছে যাতে বিভিন্ন কাজ কনটেস্ট এর মাধ্যমে করা যায়। পৃথিবীর হাজার হাজার মানুষ তাতে অংশগ্রহণ করে, এভাবে হাজার হাজার কাজের মাধ্যমে পেয়ে যায় কাঙ্খিত কাজটি। তেমনি আরেকটি বিষয় হলো, দক্ষ কোন মানুষের কাছে কাজ করার জন্য যেমন তাকে বেশি টাকা দিতে হয় তেমনি তার দ্বার পানে ঘুরতে হয় কাজ হইছে কিনা জানার জন্য, মাঝে মাঝে দেখা যায় কাজ সঠিক সময়ে হয় না। তাই মানুষ আসে কাজ করানোর জন্য অনলাইনে। এটা শুধু ডিজাইনের ক্ষেত্রেই না সব কিছুর ক্ষেত্রেই এমন। তবে এসব শুধু আপনাদের জানার জন্য বল্লাম, আসলে অনলাইনে খুব সহজে ও বাসায় বসেই কাজ হয়ে যায় বলে সবাই কাজ করায় নেয়। সব ধরণের কাজ করানো সম্ভব, কোথায় আছে না “টাকা থাকলে কি না করা যায়”। তবে এখানে হিসাব হয় ডলারের!!!!

এবার আসি টাকা উত্তোলন এর ব্যাপারে, অনেক এর ভুল থারণা আছে যে টাকা উত্তোলন করা যায় না। (আসলে এটা টাকা না, ডলার সহ বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন রকম টাকা) আসলে অনেক এ ফ্রিলান্সিং করতে গিয়ে না যেনে কিছু ওয়েবসাইটে কাজ করা শুরু করে, আর না জেনেই কাজ করতে থাকে। বাস্তব জীবনের মত, অনলাইনেও কিন্তু অনেক ধোকার জায়গা আছে। তাই হয়তো অনেক এ সে ধোকায় পড়ে মনে মনে ধরেই নিছে যে এসব টাকা তুলা কখনো সম্ভব না। ভাই বাঁচতে হলে কিন্তু জানতে হবে।  প্রেম মানুষকে কষ্ট দেয় তবুও কিন্তু মানুষ প্রেম করে। তাই বলছি, একবার ধোকা খেয়ে হার মানবেন না, কারণ সত্যিই কিন্তু ইন্টারনেটে আয় করা সম্ভব, তবে তার আগে জানতে হবে। আমার পরবর্তী পোষ্ট গুলোতে কিন্তু এসব বিষয় থাকছে তাই কোন চিন্তা নয়। শুধু আশা ধরে রাখতে হবে। হাল ছাড়লে কিন্তু চলবে না। আর হ্যা আজই একাউন্ট খুলে রাখতে পারেন।

Payoneer এ একাউন্ট খুলতে যা যা লাগবেঃ

[বি: দ্র: payoneer নিয়ে আরো চমকপ্রদ কিছু জিনিস আছে তাই আগেই একাউন্ট খুলবেন না। শুধু যারা অনলাইন থেকে টাকা তুলতে পারছেরন না তারা এখানে একাউন্ট খুলে নেন, তবে আগেই বলি সব জায়গায় Payoneer দিয়ে টাকা তুলা যায় না]
  1.  National ID Card এর কপি যা আপনার একাউন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য লাগবে। যদি না থাকে তাহলে যার আছে তার নামে একাউন্ট খুলতে হবে।
  2. নাম, জন্ম তারিখ ও সব ঠিকানা সঠিক ভাবে দিতে হবে, কোন আলাদা নাম ব্যবহার করা যাবে না।
  3. Shipping Address এর প্রথমে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে, কারণ Payoneer থেকে কার্ড দেয় যা আসে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে, সেটা পেতে সময় লাগে তাই আগে থেকে একাউন্ট খুলে রাখা ভালো।
  4. Personal Account খুলবেন।
  5. মোবাইল নম্বর ভেরিফাইড করে নিবেন।
  6. Security Check Question অবশ্যই মনে রাখতে হবে

এখন বিষয় হলো ভাবার, আগেই একাউন্ট না খুলে ভাবুন ‍কি করবেন। আপনি কি প্রস্তুত ফ্রিলান্সিং এর জন্য??