ফ্রিলান্সিং কি এবং চলতি কিছু ভুল ধারণা
কেউ মনে করে ফ্রিলান্সিং এর ভিত্তি কোথায়, কে দিবে টাকা, কেনোই বা দিবে। যদি প্রশ্ন এমন হয় তাহলে কিছু জিনিস জেনে রাখা দরকার। আসলে কিছু কাজ থাকে যা কোন প্রফেসনাল ডিজাইনার, বা কোন দক্ষ মানুষের কাছে করে নিতে গেলে অনেক ডলার পেমেন্ট করতে হয়। সে ক্ষেত্রে কেউ কেউ অল্প দামের ভিতর কাজ খুজে, আর তখন তারা সেটা অনলাইনে খোজা শুরু করে। আবার অনেক সময় দেখা যায় কিছু জিনিস যেটা একটা ডিজাইনার তার মত করে এক ভাবে প্রকাশ করে দেখায় তারথেকে ভালো ফলাফল পাওয়া যায় অনলাইনে। যেমন ধরেন ফ্রিলান্সার.কম নামে একটা ওয়েবসাইট আছে যাতে বিভিন্ন কাজ কনটেস্ট এর মাধ্যমে করা যায়। পৃথিবীর হাজার হাজার মানুষ তাতে অংশগ্রহণ করে, এভাবে হাজার হাজার কাজের মাধ্যমে পেয়ে যায় কাঙ্খিত কাজটি। তেমনি আরেকটি বিষয় হলো, দক্ষ কোন মানুষের কাছে কাজ করার জন্য যেমন তাকে বেশি টাকা দিতে হয় তেমনি তার দ্বার পানে ঘুরতে হয় কাজ হইছে কিনা জানার জন্য, মাঝে মাঝে দেখা যায় কাজ সঠিক সময়ে হয় না। তাই মানুষ আসে কাজ করানোর জন্য অনলাইনে। এটা শুধু ডিজাইনের ক্ষেত্রেই না সব কিছুর ক্ষেত্রেই এমন। তবে এসব শুধু আপনাদের জানার জন্য বল্লাম, আসলে অনলাইনে খুব সহজে ও বাসায় বসেই কাজ হয়ে যায় বলে সবাই কাজ করায় নেয়। সব ধরণের কাজ করানো সম্ভব, কোথায় আছে না “টাকা থাকলে কি না করা যায়”। তবে এখানে হিসাব হয় ডলারের!!!!
এবার আসি টাকা উত্তোলন এর ব্যাপারে, অনেক এর ভুল থারণা আছে যে টাকা উত্তোলন করা যায় না। (আসলে এটা টাকা না, ডলার সহ বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন রকম টাকা) আসলে অনেক এ ফ্রিলান্সিং করতে গিয়ে না যেনে কিছু ওয়েবসাইটে কাজ করা শুরু করে, আর না জেনেই কাজ করতে থাকে। বাস্তব জীবনের মত, অনলাইনেও কিন্তু অনেক ধোকার জায়গা আছে। তাই হয়তো অনেক এ সে ধোকায় পড়ে মনে মনে ধরেই নিছে যে এসব টাকা তুলা কখনো সম্ভব না। ভাই বাঁচতে হলে কিন্তু জানতে হবে। প্রেম মানুষকে কষ্ট দেয় তবুও কিন্তু মানুষ প্রেম করে। তাই বলছি, একবার ধোকা খেয়ে হার মানবেন না, কারণ সত্যিই কিন্তু ইন্টারনেটে আয় করা সম্ভব, তবে তার আগে জানতে হবে। আমার পরবর্তী পোষ্ট গুলোতে কিন্তু এসব বিষয় থাকছে তাই কোন চিন্তা নয়। শুধু আশা ধরে রাখতে হবে। হাল ছাড়লে কিন্তু চলবে না। আর হ্যা আজই একাউন্ট খুলে রাখতে পারেন।
Payoneer এ একাউন্ট খুলতে যা যা লাগবেঃ
[বি: দ্র: payoneer নিয়ে আরো চমকপ্রদ কিছু জিনিস আছে তাই আগেই একাউন্ট খুলবেন না। শুধু যারা অনলাইন থেকে টাকা তুলতে পারছেরন না তারা এখানে একাউন্ট খুলে নেন, তবে আগেই বলি সব জায়গায় Payoneer দিয়ে টাকা তুলা যায় না]
- National ID Card এর কপি যা আপনার একাউন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য লাগবে। যদি না থাকে তাহলে যার আছে তার নামে একাউন্ট খুলতে হবে।
- নাম, জন্ম তারিখ ও সব ঠিকানা সঠিক ভাবে দিতে হবে, কোন আলাদা নাম ব্যবহার করা যাবে না।
- Shipping Address এর প্রথমে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে, কারণ Payoneer থেকে কার্ড দেয় যা আসে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে, সেটা পেতে সময় লাগে তাই আগে থেকে একাউন্ট খুলে রাখা ভালো।
- Personal Account খুলবেন।
- মোবাইল নম্বর ভেরিফাইড করে নিবেন।
- Security Check Question অবশ্যই মনে রাখতে হবে
এখন বিষয় হলো ভাবার, আগেই একাউন্ট না খুলে ভাবুন কি করবেন। আপনি কি প্রস্তুত ফ্রিলান্সিং এর জন্য??
EmoticonEmoticon